ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জগতে আজকাল চমৎকার কিছু টুলস ও ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে, যেগুলো আমাদের ডেভেলপমেন্টকে আরও সহজ করে দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয় নাম নিঃসন্দেহে Flutter। ফ্লাটার দিয়ে আপনি মোবাইল, ডেস্কটপ, এমনকি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন পর্যন্ত তৈরি করতে পারবেন, তাও আবার একই কোডবেস ব্যবহার করে! ডার্ট প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরি এই ফ্রেমওয়ার্ক, যেকারণে আমার কাছে মনে হয় ডার্ট টিকেই আছে ফ্লাটারের কারণে। ফ্লাটারের মতো মাল্টি-প্ল্যাটফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক সত্যিই ডেভেলপারদের জন্য এক আশীর্বাদ।

তবে যদি আপনি HTML, CSS, এবং JavaScript দিয়ে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ডেস্কটপ অ্যাপ তৈরি করতে চান, তাহলে Electron আপনার জন্য সেরা টুল। ইলেকট্রনের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় অ্যাপগুলো যেমন Visual Studio Code, Slack, Skype, এবং Postman সহ অনেক। তবে বাজারে ইলেকট্রনের প্রতিযোগী হিসেবে ইতিমধ্যেই পা রেখেছে Tauri। এটি ইলেকট্রনের মতো পুরো Chromium ব্রাউজার ইনক্লুড না করেই কাজ করে, যার ফলে বাইনারি সাইজ ছোট হয় এবং পারফরম্যান্সও ভালো থাকে। Tauri এর সেলিং পয়েন্ট এখানেই।

কিন্তু অপেক্ষা করুন, গল্প এখানেই শেষ নয়! আজ আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আরও এক উদ্ভাবনী টুলের সাথে, যার নাম Dioxus। এটি Rust Language দিয়ে তৈরি একটি ক্রস-প্ল্যাটফর্ম টুল, যা দিয়ে আপনি Mac, Windows, Android, iOS, এবং Web—সব প্ল্যাটফর্মের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন, তাও এক কোডবেস থেকেই! এক কথায় বলতে গেলে, এটি Flutter-এর সরাসরি প্রতিযোগী।

Dioxus-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হল এর rsx, যা ফ্লাটার এবং রিয়্যাক্টের মিশ্রণে তৈরি। এর সাহায্যে আপনি HTML মার্কআপ এর মতো কোড লিখতে পারবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্টেট ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাকশন হ্যান্ডল করতে পারবেন। আর স্টাইলিং তো আছেই CSS-এর মাধ্যমে, যে কারণে আপনার আপনার UI ডিজাইন করা নিয়ে চিন্তায় করতে হবে না।

তাছাড়া Dioxus এসেছে কিছু দুর্দান্ত ফিচার নিয়ে, যেমন:

  • ফুল স্ট্যাক
  • হট রিলোডিং
  • ফাস্টার কম্পাইলিং
  • লেস টুলিং
  • তাছাড়া Rust-এর সব শক্তি তো আছেই

সংক্ষেপে, Dioxus ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি দারুণ একটা জিনিস এবং ভবিষ্যতে এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

Link: https://dioxuslabs.com/

Leave a Reply