ডক্টর ইউনুস এর একটা কথা ভালো লেগেছে। তার সারমর্ম হলো: চাকরির চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে উদ্যোক্তা হও।
যদিও আমি চাকরিই করি, কিন্তু চাকরির পিছনে এত ঘুরিনি তাদের মতো যারা ৩৫-৪৫ নিয়ে টানা-টানি করছে। চাকরি করতে চাইলে শুধু একাডেমিক পড়াশুনা দিয়ে কিছু হবে না। পড়াশুনার সাথে সাথে রিলেটেড টপিক নিয়ে হ্যান্ডস-অন প্র্যাক্টিস করা লাগে। চাকরি করার আগে আমি বেশ কিছু ছোট কাজ করতাম তবে সেটা যথেষ্ট ছিলো না। চাকরির অফার পেয়েছি, চাকরি করেছি বা করছি।
আমার বয়স ১৭ থেকেই কামাই করি সেটা ২০০ টাকারই হোক, লজ্জার কিছুই নাই। আমি কাজকে কাজই মনে করি ছোট কাজ বা ইজ্জত গেল এইরকম চিন্তা কখনোই করিনি। আমি চাকরির সাথে বেশ কিছু ছোট-খাটো ব্যবসাও করেছি। এখন নতুন করে কৃষিতে কাজ শুরু করেছি। ব্যবসাতে লাভ লস থাকেই, তবে স্বাধীনতা পুরোপুরি।
আমার সাজেশন: হলো যেখানেই থাকেন যে অবস্থাতেই থাকেন বসে থাকা উচিৎ না। কিছু একটা শুরু করে দেয়াই উত্তম তাহলে দেখবেন আপনি যেটা চাচ্ছিলেন সেটা আরও সহজ হয়ে গেছে বা প্রয়োজন মনে হবে না।
আমাদের বাবা-মায়েদেরও একটা সমস্যা যে “পড়ালেখা করাচ্ছি যাতে ভালো (সরকারি) চাকরি করবে” এই ধরনের চিন্তা থেকেও বের হয়ে আসা উচিৎ। সন্তানদের যেটা ভালো লাগে বা ভালো পারে সেটাতেই আগ্রহ বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিতে হবে।
আমার কিন্তু একাডেমিক পড়াশুনা নাই বললেই চলে। এখন আমার বয়স ৩৪ চলছে, কিন্তু আল্লাহর রহমতে মোটামুটি সব কিছুই অর্জন হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার ৩০ বছর বয়সে এসেও যদি কিছুই না করতে পারেন তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি আগামী ২০-৩০ বছরেও কিছু হওয়ার সম্ভবনা নাই আল্লাহর রহমত ছাড়া।
আমি এমন মানুষকেও চিনি যারা আমার থেকে কমপক্ষে ৮-১২ বছরের সিনিয়র, একাডেমিক পড়াশুনাও ভালো কিন্তু বেকার, হতাশ হয়ে বাড়িতে বসে আছে। অথচ তাদের হাতের কাছে অনেক সুযোগ আছে যেগুলা গ্রহণ করতে পারে।
Leave a Reply